আপনার মূল্যবান ভোটটি দিন

জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ানটি বের করুন দাগসূচি

আপনার কাছে যদি শুধুমাত্র কোন একটি নির্দিষ্ট জমির দাগ নম্বর থাকে তাহলে সেই জমির দাগ নম্বর থেকে জমিটির খতিয়ানটি বের বের করুন দাগসূচি সম্বন্ধে জানতে পারবেন। কিভাবে আপনি এই সম্বন্ধে জানতে পারবেন তার বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত হতে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো। 

খতিয়ানটি বের করুন দাগসূচি- আপনি ঘরে বসে এটি যাচাই করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে নিম্নে উল্লেখিত ওয়েবসাইটে যেতে হবে। খতিয়ান অনুসন্ধান- https://eporcha.gov.bd/khatian-search-panel

উপরে লিংকে ক্লিক করার পর আপনি একটি পেজে যেতে পারবেন। সেখানে গিয়ে পেজটি একটু নিচের দিকে স্ক্রল করুন। সেখানে আপনি কিছু বক্স পাবেন যেগুলো আপনাকে সঠিক তথ্য অনুসারে পূরণ করতে হবে। আসুন প্রয়োজন অনুসারে কি কি তথ্য লাগবে সেই সম্বন্ধে জেনে নেই। 

আপনি যেহেতু দাগ নম্বর দিয়ে আপনার জমির তথ্য বের করার জন্য উক্ত বক্সগুলোর নির্দিষ্ট বক্সে জেলা-উপজেলা, এবং মৌজা নম্বর সঠিকভাবে বসিয়ে দিতে হবে। অর্থাৎ আপনি আপনার জমি যেই লোকেশনে আছে সেই ঠিকানা সঠিক ভাবে বসিয়ে দিতে হবে। 

এরপর খতিয়ান যাচাই করার ক্ষেত্রে যেহেতু আপনি দাগ নম্বর দিয়ে যাচাই করতে হবে, সে ক্ষেত্রে আপনাকে দাগ নম্বর উল্লেখিত অপশনটিতে ক্লিক করে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন। দাগ নম্বর সঠিকভাবে বসিয়ে একটি রি-ক্যাপচা দেখতে পাবেন, সেটি পূরণ করুন। এক্ষেত্রে রি-ক্যাপচাটি খুবই সহজ হবে এবং আপনি এটি সহজেই পূরণ করতে পারবেন। এই রি-ক্যাপচা সল্ভ করার পর “অনুসন্ধান করুন” বাটনটিতে ক্লিক করুন। 

এরপর আপনি যদি সঠিকভাবে দাগ নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য প্রদান করে থাকেন, তবে আপনি কয়েক মুহূর্তের মাঝেই আপনার জমির খতিয়ান পেয়ে যাবেন। এভাবেই আপনি জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ান নম্বর বের করুন দাগসুচি যাচাই করতে পারবেন।  এই ক্ষেত্রে আপনি অন্য উপায়ও অবলম্বন করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার পিতা মাতার নাম, খতিয়ান নম্বর, সমস্ত তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে জমির খতিয়ান যাচাই করতে পারবেন। 

মোবাইল ব্যতিত যেভাবে যাচাই করবেন 

এক্ষেত্রে আপনাকে খতিয়ান নাম্বার বা জমির দাগ নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে যোগাযোগ করে খতিয়ান তুলতে হবে। বর্তমানে সেটেলমেন্ট অফিস থেকে খতিয়ান ১০০ শত টাকার মতো  খরচ হয় এবং আপনি যদি  খতিয়ান অনলাইনের মাধ্যমে উঠাতে চান  তাহলে আপনার খরচ লাগবে ৫০  টাকা । আপনি যদি খতিয়ানটি ডিজিটাল ভাবে  তুলতে চান, তাহলে দুই প্রকার খতিয়ানই ডিজিটাল করে তুলতে পারবেন। খতিয়ান অনলাইন কপি এবং ডাকযোগে খতিয়ান থার্টি ফাইভ কপি পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন । 

খতিয়ানে যা যা উল্লেখ থাকবে তার সংক্ষিপ্ত বিবরনঃ 

একটি খতিয়ানে মালিকানা তথ্যসহ বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ থাকে। যেমন-

একজন শ্রমিক দখলদারির নাম, ঠিকা্না , পিতার নাম , ও জমি দখল তার কোন শ্রেণীভুক্ত 

দখলদার কর্তৃক জমির অবস্থান, পরিমান , ও সীমানা উল্লেখ থাকে এবং জমির মালিকের নাম ,  পিতার নাম ও ঠিকানাও উল্লেখ থাকে। সাধারণত খতিয়ান তৈরি করার সময় খাজনা পরিমাণ ও ২৮,২৯,৩০ বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত খাজনা নির্ধারন করা হয় এবং গরু চারণভূমি,বনভূমি ও মৎস খামারের জন্য ধারণকৃত অর্থ নির্ধারন করা হয়।

আপনি কোন একটি জমির মালিকানা যাচাই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি আপনার কোন খতিয়ান সম্পর্কে  সন্দেহ থেকে থাকে বা মালিকানা সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকে, তাহলে  আপনি আপনার  খতিয়ান নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ানের ভলিউমের সাথে মিল থাকলে বুঝে নিবেন যে, এক্ষেত্রে কোনোপ্রকার  জালিয়াতি হচ্ছে। 

মোবাইলে যেভাবে মালিকানা যাচাই করবেনঃ

এক্ষেত্রে আপনি এর আগে যেভাবে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছিলেন, সেভাবেই আবার প্রবেশ করবেন। আগেরমত ইন্টারফেসে এবার আপনি খতিয়ান নাম্বারটি লিখতে হবে এবং তারপরে রি-ক্যাপচাটি পূরন করতে হবে। “খুঁজুন” অপশনটিতে ক্লিক করলে মালিকের নাম পেয়ে যাবেন। এখন ওই জমিতে ওই সেই মালিক কতটুকু পরিমান অংশ পাবে তার পরিমাণটি দেখতে পাবেন। অবশ্যই ভালভাবে মালিকের পরিচয়ের সাথে যেই ফলাফল পেয়েছেন, সেটি মিলিয়ে নিন। মাঝে মাঝে কিছু সিস্টেম সমস্যার কারনে এইসব সমস্যা হতে পারে। 

আশা করি আমাদের আলোচনা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। উপরোক্ত উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনারা খুব সহজেই জমির দাগ নম্বর থেকে খতিয়ান বের করতে পারবেন। সাথে খতিয়ান নম্বর ব্যবহার করে মালিকানা যাচাইও করতে পারবেন। আপনাদের এই সকল কার্যক্রম করতে যে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাবেন যাতে আমরা এক্ষেত্রে জানতে পারি।  আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাহায্য করবো। শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment