চাঁদ দেখা কমিটির সর্বশেষ খবর ২০২২
চাঁদ দেখা কমিটির দেওয়া নতুন খবর।মহরমের রোজা কত তারিখে পালিত হবে।সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান অনুসন্ধান করে চলেছেন আরবি প্রথম মাসের আশুরা কত তারিখে পালন করা হবে।
চন্দ্র মাস বা আরবি মাসের প্রথম মাস হচ্ছে মহরম। যে মাসের ১০ তারিখে পালন করা হয় পবিত্র আশুরা। এই আশুরাকে ধীরে রয়েছে ইসলামের এক বিশাল ইতিহাস। তাই আজকে পোস্টে আপনাদের জানাবো কবে পালন করা হবে আশুরা ২০২২। সাথে আরো জানতে পারবেন কেন পালন করা হয় আশুরা। বিস্তারিত জানতে আজকের পোস্টের শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
প্রতিবছর মহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরা পালন করা হয়ে থাকে এই দিনে হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেরাউন ও তার সৈন্যদের হাত থেকে মুক্তি পায়। অন্যদিকে এই দিনে আল্লাহ ফেরাউন ও তার সৈন্যদের দরিয়ায় ডুবিয়ে ধ্বংস করেন। তাই হযরত মূসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বিষয় উপলক্ষে আশুরার দিনে রোজা রাখতেন।
ইসলাম ধর্মে আরবি মাস অনুযায়ী মহররম মাসের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। কারণ এ মাসের পালিত হয় পবিত্র আশুরা। আসলে বলার কারণ হচ্ছে মহরম মাসের ১০ তারিখ আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ফেরাউন ও তার সৈন্যদলের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। অন্যদিকে ফেরাউন ও তার সৈন্যদলকে পানির মধ্যে ডুবিয়ে ধ্বংস করেছিলেন।
হযরত মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিষয়ে উপলক্ষে আশুরার দিন রোজা ও নফল ইবাদত করা হয়েছিল। যেখানে ইহুদীরা এই দিন উপলক্ষে রোজা পালন করতো সেখানে হযরত মুহাম্মদ সাঃ ঘোষণা করলেন দুইদিন আশুরা উপলক্ষে রোজা রাখতে হবে। কারণ একদিন রোজা রাখলে ইহুদীদের সদৃশ্য হয়ে যাবে।
যারা এখনো জানেন না এই বছর মহরম মাসে আশুরা কত তারিখে পালিত হবে, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে আশুরা সম্পর্কে হাদিস ও মহররম মাসের ১০ তারিখ কবে তার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। চাঁদ দেখা কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবছর আশুরা পালন করা হবে আগষ্ট মাসের ০৯ তারিখ।তাই আপনার কাছের মানুষকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন।
বর্তমানে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান গোলে অনুসন্ধান করছেন কবে পালন করা হবে মহররম মাসের আশুরা। আসলে কি ঘিরে এই মহররম মাসে বিভিন্ন এবাদত পালন করা হয় যার মধ্যে রয়েছে রোজা। সকল ধর্মগ্রন মুসলমান মহররম মাসে আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজা রেখে থাকে। কিন্তু তার আগে সবাইকে অবশ্যই জানতে হবে কবে মহরম মাস শুরু হয়েছে ও মহররম মাসে ১০ তম দিন কত তারিখ।
মহরম আছে যারা রোজা রেখে থাকেন তাদের জন্য অবশ্যই জানতে হবে এই বছর মহরমের রোজা কত তারিখে পালন করা হবে আসরাও উপলক্ষে যারা মহরম মাসে রোজা রাখবেন তারা অবশ্যই মহরম মাসের ৯ ও ১০ তারিখে মহরমের রোজা রাখবেন। এই বছর মহরম মাসের রোজার ইংরেজি তারিখ হচ্ছে আগস্ট মাসের ৮ ও ৯ তারিখ। আশুরা উপলক্ষে ইবাদত করার আগে অবশ্যই ইসলামিক হাদিসের আলোকে সকল ধরনের ইবাদত সম্পর্কে সহিত দলিল দেখে নিবেন।
দেখতে দেখতে চলে গেল আরেকটি আরবি বছর। ১৪৪৬ হিজরীকে বিদায় জানিয়ে শুরু হলো ১৪৪৪ হিজরি বছর। তাই নতুন আরবি বছরের আশুরার রোজা ও আশুরা কবে পালিত হবে তার বিস্তারিত তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে আজকের এই পোস্টে। এই বছর আশুরা পালিত হবে আগস্ট মাসে। যেখানে সরকারিভাবে আশুরা উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়ে থাকে। এই বছরের মহরম মাসের ১০ তারিখ আসর ও পালন করা হবে যার জন্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে আগস্ট মাসের ৯ তারিখ।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “আমার প্রত্যাশা, আশুরার সিয়ামের বিনিময়ে মহান আল্লাহ তা’আলা বিগত বছরের গুনাহ মার্জনা করে দিবেন।”[সহীহ মুসলিম(১১৬২)] আল্লাহ তায়ালা হাশরের সিয়াম পালনের মাধ্যমে আমাদেরকে গুনাহমুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন।
১৪৪৪ হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহররম মাসে ১০ তারিখ ইংরেজি কত তারিখ পরে তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন। আপনাদের সবাইকে জানাতে চাই এ বছরের ১০ মহররম পালিত হবে আগস্ট মাসের ৯ তারিখ। যেখানে সকল মুসলমান আশুরা উপলক্ষে রোজা রেখে থাকে ও রাত্রি জাগরণ করে নফল ইবাদতের মাধ্যমে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার থেকে মহরমের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে চাঁদ দেখা কমিটি মহরম মাসের আশুরার দিন তারিখ ঠিক করেছে। যার ফলে মহরম মাসের আশুরার উপলক্ষে ছুটি কত তারিখে নির্ধারিত হবে তা প্রকাশিত হয়েছে। আগস্ট মাসের ৯ তারিখ মহররম মাসের আসরের উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসলামিক হাদিসের আলোকে মহরম মাসের আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজার পালন করতে বলা হয়েছে। তাই সবাই মহররম মাসের ৮ ও ৯ তারিখ মহরমের রোজা রাখবেন। মহরম আসার একটি বিশেষ আমল হচ্ছে আশুরার রোজা। যা মহরম মাসের ৯ ও ১০ তারিখ অথবা ১০-১১ তারিখ রাখা যায়। অনেক আলম বলেন সর্বোত্তম হচ্ছে মহরমের ৯,১০ ও ১১ ৩ দিনই রোজা রাখা।
তিনটি রোজা রাখতে চাইলে সেগুলো রাখতে হবে ৮, ৯ ও ১০ আগস্ট ২০২২। আশুরা রোজা রাখলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহ আল্লাহ তাআলা মাফ করে দিবেন। আশুরা ও আইয়ামে বীজের রোজা ছাড়াও যত বেশি করা যায় এই মাসে রোজা রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম রমজানের পর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন মহরম মাসের রোজাকে।