আপনার মূল্যবান ভোটটি দিন

রাাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সর্ব শেষ খবর

ইউক্রেন থেকে  ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউনন্সিলের সেক্রেটারি ওলেস্কি দানিলভ টুইটে বলেন যে , রাশিয়া কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চসংখ্যক সেনা সমাবেশ করেছে কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেস্কি আরেস্তোভিচ বলেন যে , তাঁর দেশের সেনাদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে দ্রুত দিনিপ্রো নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতু পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দখলদার বাহিনীর রুস সরবরাহ ঠেকাতে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করার চেষ্টা করবো।’

পূর্ব ইউরোপে আরো ৪০ হাজার সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা ন্যাটোর। ব্রাসেল সেহ সম্মেলনে এলো এই ঘোষণা।জানা যাচ্ছে , গোটা অঞ্চলের সুরক্ষার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যেকোনো সময় চেয়ে এখন সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ ন্যাটো। ইউক্রেনের জন্য ১০০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তার ঘোষণাও দেন তিনি। হুঁশিয়ারি জন্য রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার।

কয়েকদিন ধরে নরওয়েতে দিভাষিক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ন্যাটো। তখনই অনেকে ধারণা করেন, ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে মোতায়নের জন্যই নিজেদের সক্ষমতা চালিয়ে নিচ্ছে সামরিক জোটটি। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে দিনভর বৈঠক করেন ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ইউক্রেনের প্রতিবেশী ইউরোপের চার দেশের আরো ৪০ হাজার সৈন্য মোতায়ন করবে তারা। জোটের মহাসচিব জানান, নিজ নিজ অঞ্চলের সুরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

তিনি আরো বলেন , ” সার্বভৌম রাষ্ট্রই ইউক্রেন এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে বড় ভুল করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি দেশটির সামরিক সক্ষমতায় এবং প্রতিরোধ শক্তিকে ক্ষমতায় দুর্বল ভেবেছিলেন কিন্তু কিএফ কে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। মস্কো যদি কখনো রাসায়নিক বা জীবন নেয়া  হামলার চেষ্টা করে , তার জবাব দেয়ার জন্য বিশেষ বাহিনী তৈরি আছে আমাদের। “

সম্মেলনে রাশিয়ার উপর নতুন করে অবরোধের হুশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন , ইউক্রেন ভূখন্ডে কেমন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে রাশিয়া, তার উপর নির্ভর করবে পাল্টা জবাব।

তিনি আরো বলেন , ” ন্যাটোকে ভাঙ্গার পরিকল্পনা পুতিনের অনেক পুরনো। আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দেখেছি বহু আপাতত্বরতা সে ৩০ টি দেশকে আলাদা করে দিতে চায় কিন্তু ইউক্রেনে অভিযান চালানোর কারণে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় আরো বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সামরিক জোটটি। তবে নিষেধাজ্ঞা বা হুমকি ধমকিতে নয় আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে যুদ্ধের পরিস্থিতির সমাধান , এমনটি মনে করেন তুর্কির প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

তিনি বলেন , ” কোন দেশের উপর হুমকি দেয়াটা ন্যাটোর কাজ নয়। সংকট সমাধানের জন্য রুশ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে প্রতিনিয়ত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি দুই পক্ষকেই শান্তি চুক্তির জন্য রাজি করাতে পারবো।রাশিয়ার উপর চাপ বাড়ানোর পাশাপাশি ইউক্রেনের মানবিক ও সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সহ জোটের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোর। সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিলে যুদ্ধ ঠেকানো যেত ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার উপর দিচ্ছে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা। তাতে আমরা কৃতজ্ঞ নিঃসন্দেহে এটা শক্ত পদক্ষেপ কিন্তু জোটের বিলম্বের কারণে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া যুদ্ধ খুব সহজেই ঠেকানো যেত আগে থেকে পদক্ষেপ নিলে । বন্ধ করা হলো নরওয়ে স্ট্রিম টু গ্যাস পাইপ লাইন ও ততদিনে জ্বালানি সংকট তৈরি করেছে পুতিন প্রশাসন। অবশেষে ইউক্রেন কে ইউরোপীয় জোটে জায়গা দেয়ার পরিকল্পনা চলছে । বলবো দেরি না করে শিগগিরি বাস্তবায়ন করুন সিদ্ধান্তটি।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হলো ইউক্রেনে মানবিক সহায়তা এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রস্তাব। ভোটের ক্ষেত্রে ১৯৩ টি রাষ্ট্রের মধ্যে পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ সহ ১৪০ টি দেশ এবং বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া সিরিয়া উত্তর কোরিয়া ইরিত্রিয়া এবং বেলাত। ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল চীন , ভারত , পাকিস্তান , শ্রীলঙ্কা সহ ৩৮ টি দেশ। প্রস্তাবে ইউক্রেনে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি করায় রাশিয়ার প্রতি নিন্দা জানানো হয়।

ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই চরমে জ্বালানি সংকট । যুক্তরাষ্ট্র আর সহদেশ গুলো উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধির আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয় বাজার। নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে রাশিয়াটিক যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেক্ষেত্রে ইউরোপের কোন অংশ কম হবে না। এটা নিজেদের সাথেই যুদ্ধে জড়ানো। এমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত না যাতে নিজেরাই কোণঠাসা হয়ে পড়ি।

রাশিয়ার পেট্রোল ও গ্যাসের উপর অবরোধ দিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ইউরোপের অর্থনীতির উপরেও। যুদ্ধ চলাকালীন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে বন্দী বিনিময় করল রাশিয়া ও ইউক্রেন । সবমিলিয়ে দুবকের মোট ৫০ জন সেনা ও কর্মকর্তাকেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এলিসি প্রাসাদ সূত্র জানিয়েছে , প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো পুতিনকে তিনটি অনুরোধ করেছেন। সেগুলো হলো :-   

  • বেসামরিক লোকদের উপর হামলা না করা
  • বেসামরিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা এবং স্থাপনা গুলোর উপর কোনো হামলা না করা
  • ইউক্রেনের প্রধান প্রধান সড়কগুলো উপর কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি না করা

প্রেসিডেন্ট পুতিন এ তিনটি অনুরোধ রাখার ব্যাপারে ম্যাঁকের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এবং ম্যাঁক্রোর সাথে  সবসময় যোগাযোগ রাখার কথাও দিয়েছেন। 

Leave a Comment