এমপিও শিক্ষকদের বেতনের খবর
২৯ সেপ্টেম্বর, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতার চেক অনুদান বণ্টনকারী ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সবশেষ ৪ অক্টোবর, কারিগরি অধিদপ্তরের অধিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য এই যে, প্রতি এক মাস পরপর শিক্ষা অধিদপ্তর সমূহে, শিক্ষক-কর্মচারীগণের নতুন এমপিওভুক্তি, ইনডেক্সধারীদের পদোন্নতি সহ উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হন।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের চেক হস্তান্তরঃ
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখে, মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সেপ্টেম্বরের এমপিও প্রকাশ করা হয়েছে। একই সাথে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতার চেক অনুদান বণ্টনকারী ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও কমিটির সভায় এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি, উচ্চতর স্কেল ও বিএড স্কেল প্রদান করা হয়ে থাকে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি. তারিখে মাউশি অধিদপ্তরের এমপিও কমিটির সভায় নতুন এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। এমপিও সভায় কর্মকর্তারা সশরীরে অংশ নেন। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
কারিগরি শিক্ষকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতনের চেক হস্তান্তরঃ
কারিগরি শিক্ষক কর্মচারীদের সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও ও বেতনের চেক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বেতন-ভাতার চেক ছাড়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ৪ অক্টোবর ২০২২ খ্রি. তারিখে।
১১/১০/২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীগণ সেপ্টেম্বর মাসের বেতন-ভাতা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবেন।
কারিগরির এমপিও আদেশকৃত স্মারক নম্বরঃ ৫৭.০৩.০০০০.০৯১.২০.০০৫.২২-১৬২৯,১৬৩০,১৬৩১,১৬৩২ তারিখ : ৩-১০-২০২২।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের সম্পর্কিত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে কেন বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে তাদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন ছয় মাসের মধ্যে প্ৰদান করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনকারীদের সম্পূরক আবেদনের ওপর শুনানি নেওয়ার পর বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল প্রদান করেন।
গত ৩১ আগস্ট প্রদানকৃত এ রুলের বিষয়টি গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে জানানো হয় এবং আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বিশাল সুখবরঃ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক এবং কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বিশাল সুখবর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পূর্বে কোনো কারণে যদি বেসরকারি শিক্ষক চাকরিকাল পূর্ণ না করে অব্যাহতি পেলে অথবা পদত্যাগ করলে আর্থিক কোনো সুবিধা ভোগ করতে পারতেন না।
কিন্তু এখন থেকে কোনো শিক্ষক পদত্যাগ করলে অথবা অব্যাহতি নিলে দশ বছরের বেশি যত বছর চাকরি করবেন ঠিক তত বছরের অবসর গ্রহনের টাকা পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিগত দিন গুলোতে শিক্ষকরা দুই বা ততোধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও এক প্রতিষ্ঠান থেকে আরেক প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে এক বছরের অধিক সময় বিরতি থাকলে নিয়ম অনুযায়ী শুধু সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাল অনুযায়ী অবসর সুবিধার টাকা পেয়ে থাকতেন।
তবে এখন নতুন নিয়ম অনুসারে এ বিধান বাতিল করা হয়েছে। এখন হতে শিক্ষকরা একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে কেবল মাত্র এমপিও বিরতির সময়টা বাদে সম্পূর্ণ চাকরির সময়ের অবসর সুবিধা এখন হতে ভোগ করতে পারবেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ।
সরাসরি নিজ ব্যাঙ্ক একাউন্টে বেতন-ভাতা পাবেন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরাঃ
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ ব্যাংক হিসাবে সরাসরি বেতন-ভাতা পৌঁছে দেবে সরকার। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয়ভাবে সরাসরি ব্যাংক হিসাবে বেতন-ভাতা পৌঁছে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় এই ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অর্থ বিভাগ এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অধিদফতরের অফিস আদেশে জানানো হয়েছে যে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও-এর অর্থ জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে ইএফটির (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও (মান্থলি পেমেন্টে অর্ডার) -এর অর্থ বিতরণ সহজ করার লক্ষ্যে অর্থ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও -এর অর্থ প্রদান করার জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যবহৃত ব্যাংক একাউন্টে জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ইতোমধ্যে অনলাইনে এমপিও সিস্টেমে প্রয়োজনীয় আপগ্রেডেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও এর অর্থ ইএফটির মাধ্যমে পাঠাতে সঠিক তথ্য প্রয়োজন।
আদেশে যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছেঃ
- শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিতে হবে।
- এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী শিক্ষক কর্মচারীদের নাম দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমানের সনদ অনুযায়ী এমপিওশিট, জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম একই রকম হতে হবে।
- যাদের এসএসসি ও সমমানের সনদ নেই, তাদের সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে এমপিওশিট ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম একই রকম থাকতে হবে।
- ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম অর্থাৎ ব্যাংক হিসাবের নাম শিক্ষক-কর্মচারীদের নিজ নামে থাকতে হবে।
- ব্যাংকের নাম, শাখার নাম ও রাউটিং নম্বর দিতে হবে।
- শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাব নম্বর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর ১৩ থেকে ১৭ ডিজিট হতে হবে।
- শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্ম তারিখ দিতে হবে।
- শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কোড ও বেতন কোডের ধাপ দিতে হবে।
- শিক্ষক কর্মচারীদের মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
এসব তথ্য সঠিক তথ্য না থাকলে ইএফটি-এর মাধ্যমে পাঠানো এমপিও -এর অর্থ শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হবে না।
অফিস আদেশে ইএফটির মাধ্যমে এমপিও -এর অর্থ বিতরণ কার্যক্রমে অধিদফতরের সকল পরিচালক, উপপরিচালক, সকল আঞ্চলিক পরিচালক, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সকল অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।