রেলওয়ে নিয়োগ ২০২২

রেলওয়ে নিয়োগ ২০২২

সম্প্রীতি কিছুদিন আগেই সংশোধিত ১০৬৮ পদে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পেয়েছে । রেলওয়ে নিয়োগ ২০২২ বিজ্ঞপ্তি তথ্য নিম্নরূপ |

  • পোস্টের নাম : মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভার (এমটিডি)
  • শূন্যপদ : 50টি
  • কাজের দক্ষতা : নির্দিষ্ট নয় ।
  • কাজের দায়িত্ব : নির্দিষ্ট নয় ।
  • কর্মসংস্থানের অবস্থা :  চুক্তিমূলক ভাবে নির্ধারণ করা হবে ।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা : কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ন্যূনতম এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে 3 বছর ।
  • অতিরিক্ত কার্যক্রম : বিআরটিএ কর্তৃক বৈধ পেশাদার (হালকা/ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী। ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রার্থীর কমপক্ষে ০৩(তিন) বৎসরের গাড়ী চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা লাগবে ।কোন ওয়ার্কশপে মেকানিক হিসাবে কর্ম অভিজ্ঞতা অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হইবে।
  • বয়সঃ প্রার্থীর বয়স আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখে সর্বনিম্ন ২১ও সর্বোচ্চ ৩৫ বৎসরের মধ্যে হতে হবে । বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র/ জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র প্রযোজ্য হবে এবং বয়সের ক্ষেত্রে এফিডেভিড গ্রহন করা হবে না।
  • চাকুরির স্থান : বাংলাদেশের যে কোন জায়গায়।
  • বেতন : সর্বসাকুল্যে মাসিক প্রদেয় বেতন ২২,৫০০/- (বাইশ হাজার পাঁচ শত) টাকা মাত্র।
  • প্রকাশের তারিখ : 20 আগস্ট 2022। 
  • আবেদনের শেষ দিন : 19 সেপ্টেম্বর, 2022 ।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্পর্কে সংগৃহীত কিছু তথ্য

বাংলাদেশ রেলওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও রাষ্ট্রীয় পরিচালিত রেল পরিবহন সংস্থা । বাংলাদেশ রেলওয়ে সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত । ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে এ সংস্থা নব্য প্রতিষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করে । মোট ২৯৫৫.৫৩ কিলোমিটার রোড রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং এতে মোট ২৫,০৮৩ জন নিয়মিত কর্মচারী রয়েছে ।

বাংলাদেশ রেলওয়েকে প্রধানত দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে , একটি অংশ হচ্ছে যমুনা নদীর পূর্ব পাশে এবং অপরটি পশ্চিম পাশে । এদেরকে যথাক্রমে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চল নামে বলা হয় । পূর্ব পাশের অংশের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১২৭৯ কিলোমিটার এবং পশ্চিম পাশের অংশের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৪২৭ কিলোমিটার । এছাড়া দক্ষিণ অঞ্চলের রূপসী নদীর পূর্ব প্রান্তের ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রূপসা বাগেরহাট ব্রড-গেজ রেলপথ সেকশনটিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে তৃতীয় অংশ হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে ।

বাংলাদেশে বর্তমানে দুই ধরণের রেলপথ চালু রয়েছে

ব্রড-গেজ ( ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি বা ১,৬৭৬ মিলিমিটার ) এবং মিটার-গেজ(১০০০ মিলিমিটার)। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে মিটার ও ব্রড-গেজ উভয় ধরনের রেলপথ রয়েছে তবে পূর্বাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা পর্যন্ত ব্রড-গেজ রেলপথ রয়েছে ।

রেলওয়ে স্টেশন সম্পর্কিত কিছু তথ্য

  • ২০০৪-২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশে সব মিলিয়ে ৪৫৪টি স্টেশন , যার মধ্যে একটি হলো ব্লক হাট, ১৩টি ট্রেন হল্ট ও ৪টি মালপত্র বুকিং পয়েন্ট আছে। 
  • ২০১৫ সালের হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশে সব মিলিয়ে ৪৮৯টি রেলওয়ে স্টেশন আছে ।
  • ঢাকায় অবস্থিত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন ।
  • ২০১৬ সালের হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশে মোট ৪৫৮টি রেলওয়ে স্টেশন আছে।
  • ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশে মোট ৪৯৩টি রেলওয়ে স্টেশন আছে

রেলওয়ে সেতু সম্পর্কিত কিছু তথ্য

২০০৪-২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশে সব মিলিয়ে ৩,৬৫০টি রেলওয়ে সেতু ছিল, যার মধ্যে ৫৪৬টি প্রধান ও ৩১০৪টি অপ্রধান । বেশিরভাগ রেলওয়ে সেতু ১০০ বছরের বেশি সময় আগে নির্মিত হয়েছিল এবং এখনও সেগুলো চালু রয়েছে । অধিকাংশ সেতুতে অনুমোদিত গতিবেগ হলো ৩০-৫০ কিলোমিটার/ঘণ্টা পর্যন্ত সীমিত ।

২০২০ সাল পর্যন্ত, বঙ্গবন্ধু (যমুনা) সেতু বাংলাদেশের দীর্ঘতম রেল-সড়ক (মিশ্র) সেতু যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪.৮ কিলোমিটার । শুধু রেলওয়ে সেতুর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ হচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ যার দৈর্ঘ্য ১.৮ কিলোমিটার

রেলওয়ে পণ্যবাহী সেবা সম্পর্কিত কিছু তথ্য

বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপট পর্যন্ত কনটেইনার পরিবহন করে , যেখানে কাস্টোমাইজ করা সুযোগ সুবিধা রয়েছে । ১৯৯১ সালের ৫ই আগস্ট থেকে একটি আলাদা কনটেইনার ট্রেন সেবা চালু করা হয় । একটি মালবাহী ট্রেন ভারতের সিঙ্ঘাবাদ ও পেট্রপোল থেকে আমাদের দেশের বেনাপোল ও রোহানপুর পর্যন্ত চলাচল করে থাকে । 

২০০৩-২০০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী ৩,৪৭৩ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০০৪-২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী ৩,২০৫ হাজার মেট্রিক টন মালপত্র রেলে পরিবহন করা হয়েছিল । ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী আমাদের দেশের রেলওয়ে সব মিলিয়ে ২৫.২ লাখ টন পণ্য পরিবাহিত হয় ।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী(আরএনবি)সম্পর্কিত কিছু তথ্য

বাংলাদেশের রেলওয়ের ১৯৭৬ সাড়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) অধ্যাদেশ জারি করা হয় , যার মাধ্যমে ‘ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড’ পরিবর্তন করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) নামে কার্যক্রম শুরু করে । চীফ সুপারিনটেনডেন্টের পদের নামকরণ করা হয়েছিল চীফ কমান্ড্যান্ট । ডিআইজি , রেলওয়ে পুলিশ আরএনবি’র চীফ কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন ।

আপনার জন্য –

সরকারি চাকরির নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২

মেট্রোরেল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২

জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২২

Leave a Comment